হিমবাহ ও ভারী তুষারপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানের রাস্তা-ঘাট, রেল সেবা এবং স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। তুষারপাতের কারণে বিভিন্ন বিমানবন্দরের কয়েকশ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
অস্বাভাবিক ঠান্ডার প্রকোপ ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণেও অনুভূত হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২১ জনই মারা গেছে পোল্যান্ডে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রচন্ড ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়ে ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, এই তীব্র ঠাণ্ডায় হতদরিদ্র, গৃহহীন ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ওপর বড় ধরনের বিপদ বয়ে আনতে পারে। কারণ আশ্রয়ের অভাবে তারা খোলা আকাশের নিচেই থাকছেন। ফলে প্রচন্ড ঠান্ডায় এসব লোকজন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছেন, বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি বা যাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা রয়েছে তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পরে তুষার সরিয়ে পরে আবার বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু করা হয়। অপরদিকে ফ্রান্সের মনপেল্লিয়ের শহরের কাছে একটি সড়কে প্রায় দুই হাজার গাড়ি নিয়ে আটকা পড়েন চালকরা। বেশিরভাগ চালকই অভিযোগ করেছেন যে, রাস্তায় তাদের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকা পড়ে থাকতে হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।